ছেলের সম্পদ বাতিল করলে করবে, নিউইয়র্কে মিট দ্য প্রেসে প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার ছেলে তো এখানেই আছে। পড়াশোনা করেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, তার সবই আছে, তার সম্পত্তি আছে, বাড়ি ঘরটর সবই আছে। যদি বাতিল করার করবে।’ গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যে আওয়ামী সরকারের আমলে কতগুলো বাই ইলেকশন হয়েছে, উপনির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, জনগণ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর আমরাও সরকারে এসেছি জনগণের ভোটে। কেউ আমাদের হাতে তুলে দেয়নি। সুতরাং, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হোক, এটা আমরাই চাই।’
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘যদিও আজকে ঘোষণায় অপোজিশনসহই বলা হয়েছে। অপজিশন বলায় একটি ভালো যে, বিএনপি যেমন ২০১৩ সালে ২০১৪ তে নির্বাচন থাকায় অগ্নিসংযোগ করেছিল, আবার ২০১৮ তে নির্বাচন থাকাতে যেমন তারা সন্ত্রাস করেছিল, পুলিশ মেরেছিল, ৫০০টি ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, তিন হাজার ৮২৫টি যানবাহন পুড়িয়েছিল, যানবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছিল। ২৯টি রেল, লঞ্চ—কোনটায় না তারা আগুন দিয়েছে, পুড়িয়ে নির্বাচন ঠেকানোর নাম করে। অবরোধ, এখন তো অবরোধ তাদের অব্যাহত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যে নির্বাচন বানচাল করার যে প্রচেষ্টা, একটা দিক সেটা বোধ হয় তারা অতদূর যেতে পারবে না, যাবে না। তবে, তারা তো পুলিশের ওপর আঘাত করে। এখন কাউকে আঘাত করলে তারা যখন সেটা প্রতিরোধ করে, সেই ছবি আবার বড় করে প্রচার করে। তবে, এখন মিডিয়ার যুগ, আমার মনে হয়, আমাদের যারা মিডিয়ার সব কিছু তোলেন, সব তথ্যগুলোই ভালো করে দেখান। যারা স্যাংশন দিচ্ছে, তারা ওটাও দেখবে যে একতরফা দেখবে না। শুরুটা কারা করল সেটা আগে দেখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর যদি শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে, আমি কিন্তু কারও শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি, আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে, জনগণের ভোটে এবং আমি কাজ করছি জনগণের কল্যাণে।’