টাকার জন্য ভাগনেকে খুন, মামা গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টাকার জন্য ভাগনেকে হত্যা করে তার অটোরিকশা নিয়ে বিক্রি করে দেন মামা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি চর গুলগুলিয়া এলাকার মো. জাবেদ।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত অটোরিকশাচালক নেকবর হোসেনের (২২)। তিনি উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকা থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় অটোরিকশাচালক নেকবর হোসেনের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তোফাজ্জেল হোসেন সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত নেকবরের আপন মামা চর গুলগুলিয়া এলাকার মো. জাবেদ (৩৭) এবং তার সহযোগী একই এলাকার ভাড়াটিয়া মো. রেজাউলকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। রেজাউলের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাঠালতলী এলাকায়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিহত নেকবরের মামা মো. জাবেদ জানান, তিনি পেশায় অটোরিকশা-মিশুকের মিস্ত্রি ও অপর আসামি রেজাউল অটোরিকশাচালক। নগদ অর্থের প্রয়োজনে দুজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে নিহত নেকবরকে হত্যা করেন এবং তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে সিরাজদিখানের কৃষ্ণনগর এলাকার মো. শাহাজালালের (২৭) কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মামলায় তাকেও আসামি হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, শাহজালালের দেওয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিগ্রিরচর এলাকা হতে অটোরিকশাটির বিচ্ছিন্ন কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’