নাইকো মামলায় দ্রুত রায় দিতে আদালতে গিয়ে বসে থাকেন আটর্নি জেনারেল : কায়সার কামাল
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, নাইকো দুর্নীতি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অথচ কেরাণীগঞ্জ আদালতে এ মামলাকে দ্রুতগতিতে শেষ করতে আটর্নি জেনারেল গিয়ে বসে থাকেন, যা নজিরবিহীন।
আজ রোববার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ অভিযোগ করেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন দেশ-বিদেশের সবাই তা জানেন। এটাকে আরও শক্তিশালী করেছেন অনিবার্চিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বলেছিলেন, আশির বেশি বছর বয়স, মরে মরে যায় যায়। এ ধরনের কটূক্তি করার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিহিংসা কিন্তু থেমে থাকেনি। এরপর থেকে নাইকো দুর্নীতি মামলা দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মামলা করেছে দুদক। মামলা পরিচালনা করবে দুদকের আইনজীবী। অথচ মামলা পরিচালনা করার জন্য হাজির হয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল নাকি আওয়ামী লীগের? এটা ইতোপূর্বে আর কখনো ঘটেনি, এটা নজিরবিহীন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধি সাক্ষ্য আইনের কিছু বিধি-বিধান রয়েছে। কিন্তু এ মামলার ক্ষেত্রে কিছুই মানা হচ্ছে না। বরং নথি দেখে দেখে সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল এসব অবৈধ কার্যক্রমকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই কোর্টে বসে থাকেন। এ জন্য আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি।
খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী আরও বলেন, নাইকো মামলা দুদক যখন দায়ের করেছিল তখন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়কে আসামি করা হয়েছিল। অথচ শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে শুধু বিচার করা হচ্ছে খালেদা জিয়ার। এখন শেখ হাসিনা বিভিন্ন কটূক্তিমূলক কথা বলার কারণে কোর্টের ওপর প্রেশার তৈরি করা হয়। এ কারণে নজিরবিহীনভাবে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়ে বসে থাকেন। যেটা নজিরবিহীন।