ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা, বললেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিৎ।
আজ রোববার (৮ অক্টোবর) ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকাভুক্ত বাড্ডা ও বারিধারার কয়েকটি বসতবাড়ি ও নির্মানাধীন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি জনগণকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় উদ্বুদ্ধকরণ এবং মশার লার্ভার উৎসস্থল শনাক্তকরণের জন্য মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীলের উদ্দেশ্যে এ পরিদর্শন করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন। তাজুল ইসলাম আশেপাশের জনসাধারণের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। বাড্ডা ও বারিধারা এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগের ধারক ও বাহক এডিস মশা মূলত মানুষের বাসা বাড়ি কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনায় জন্ম নেয়। এ মশা নদী, নালা, খাল, বিল, নর্দমার পানিতে জন্ম নেয় না। এ মশা প্রজননের জন্য জমাটবদ্ধ পরিষ্কার পানি প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ, পাশাপাশি আমাদের গ্রামেগঞ্জেও এখন প্রচুর বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার পানি জমাটবদ্ধ থাকার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে সেখান থেকে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি সম্ভব। মোটকথা সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষা করার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে আমাদের সবার নাগরিক হিসাবে সচেতনতা এবং ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা।
এ সময় বাড্ডার একটি নির্মানাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ভবনটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অন্য দুটি ভবনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।