বোনের নির্দেশে কবজি কেটে কলেজছাত্র তুরাগ হত্যা : পুলিশ সুপার

ফরিদপুরের অম্বিকাপুরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজছাত্রকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
গতকাল শনিবার এই তিন আসামিকে রাজবাড়ী ও গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. রাজন ওরফে কালা রাজন (২৬), তাঁর ছোট ভাই মো. সাজন (২৪) ও মোহাম্মদ জুয়েল শেখ (৩৮)।
পুলিশ সুপার জানান, কয়েক মাস আগে কবি জসীম উদদীন মেলার সময় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তুষারের গায়ে হাত তোলেন নিহত কলেজছাত্র তুরাগ। আর এই ঘটনার পর মো. তুষার ওরফে কানা তুষারের বোন স্বপ্না তাঁকে নির্দেশ দেন যে করেই হোক তুরাগের হাত কেটে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে হবে। বোনের সেই নির্দেশ পালনে তুষার তাঁর সহযোগীদের নিয়ে গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগকে (২৮) হত্যা করেন। তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ক্ষত করা হয়। এরপর তাঁর হাতের কবজি কেটে নিয়ে যান বোনের কাছে। পরে খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই তুরাগের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় আলীপুর মহল্লার নিহত তুরাগের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যা মামলার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় হত্যার কারণ ও দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে। গতকাল রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে মো. জুয়েল শেখকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই আসামি আপন দুই ভাই মো. রাজন ওরফে কালা রাজন ও তাঁর ভাই মো. সাজনকে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি মোহাম্মদ তুষার ওরফে কানা তুষারকে আটকের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে এই মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামি মো. আক্কাস জমাদ্দার (৩৫) ও মো. টিপু খাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।