নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের নগর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের সহযোগিতায় এবং সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বিত উদ্যোগে চলছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এবারে পানি দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘শান্তির জন্য পানি’।
কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে ইউএসএইড খাবার পানির মান বৃদ্ধিসহ উন্নত পায়খানা নির্মাণে কাজ করছে। ড্রিংকওয়েল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলে আর্সেনিক, আয়রন এবং ক্ষুদ্র প্লাস্টিকমুক্ত খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক ৫ থেকে ৮ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম যা কিনা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে ব্যবহারকারিরা অত্যন্ত কম খরচে কিনতে পারছেন।
কর্মকর্তারা বলেন, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এবং তাদের মাঝে স্বল্পমূল্যে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়াও ‘নলকূপ’ নামে মোবাইল অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলে আর্সেনিকমুক্ত পানির উৎস চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানান তারা। পার্বত্য চট্টগ্রামে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে মিলে প্রায় ২৫ লাখ একর বনভূমিতে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পাহাড়ি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীদের সুপেয় পানির অভাব দূরীকরণে ভূগর্ভস্থ্য পানি সংরক্ষণ, পানি থেকে অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ পৃথকীকরণ, ঝর্নাগুলোকে পুনরুজ্জীবন এবং বর্ষাকালে পানি ধরে রাখার উদ্যোগের কথা জানান কর্মকর্তাবৃন্দ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে তারা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় শহর ও উপকূলীয় অঞ্চলে গাছ এবং বনভূমির পরিমাণ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।