এমপি আনার হত্যা : ১০ দিনের রিমান্ডে সিয়াম হোসেন
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি পুলিশ। আজ শনিবার (৮ জুন) দুপুরে তাঁকে বারাসাতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির মহাপরিদর্শক (আইজি) অখিলেশ চতুর্বেদী বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিভি অনলাইনকে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আশা করছি তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব।’
আনোয়ারুল আজীম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে গতকাল শুক্রবার ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে এবং বাকি দুজন পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান। ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদার ও সিয়াম হোসেন।
এদিকে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে সিআইডি ১২ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে। আদালত জিহাদকে পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এদিকে আজ শনিবার (৮ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সিয়ামকে ভারত নিয়ে গেছে। আনারকে হত্যা করে পৈশাচিক কায়দায় গুম করার বিষয়টি জানে সিয়াম ও জিয়াদ। এ দুজনই এখন তাদের কাছে রয়েছে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করলে ভালো ফল পাবে। প্রয়োজনে আমরাও সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। সিয়াম নেপালে আছে, সেই তথ্য পাওয়ার পরে আমরা এনসিবিকে চিঠি লিখেছি। এনসিবি দ্রুত কাঠমান্ডু এনসিবিকে তথ্য পাঠিয়ে বলেছে, সিয়ামকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরও বলেন, কাঠমান্ডুতে গিয়ে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে, সেখানে অপরাধের একটা রুট হয়ে গেছে। নেপালের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়েছি। সব তথ্যই নিয়ে এসেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের একটা অর্জন, কারণ আমরা তথ্য দিয়েছি। ভারতও কাজ করছে। দুই দেশের তদন্ত কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার কারণে ভালো ফলাফল আসছে। আমরা যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারাও দায় স্বীকার করেছে।