রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে। আমাদের পাশে এখন জনগণ আছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আগে কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন সেটা করা হচ্ছে বলেই সমস্যা সামনে আসছে।’
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ভূমি ভবনে বিসিএস ক্যাডার ও জুডিসিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বর্ডারে ঝামেলা হচ্ছে। বিজিবি সবসময় সতর্ক রয়েছে। সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত। এই সীমান্তে ওপারের কেউ আসতে পারবে না।’
এ সময়ে উপদেষ্টাদের নামে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে চাইলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চাকরি হারানোর ভয় না থাকলে সিভিল সার্ভিস কর্মীরা সেবাদানে অনীহা দেখায়। শৃঙ্খলা থাকলে ক্যাডারদের মধ্যে রাজনীতি থাকত না।’
দুর্নীতিকে বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা আখ্যায়িত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্নীতি না কমলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে হামলা ও উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘটনার সূত্রপাত জমির ধান ও গাছকাটা কেন্দ্র করে। এতে দুপক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর কিছু ঘটেনি। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ আলোচনায় সমাধান হয়ে গেছে।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সামনেই বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করছে ভারতীয় নাগরিকরা। ওপার থেকে টিয়ারশেল ছুঁড়তেও দেখা গেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে বিজিবি।
স্থানীয় বাংলাদেশিদের অভিযোগ, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে পাঁচ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। ফলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে পাঁচ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা একাধিক ককটেল ফাটান। পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন বিএসএফ সদস্যরা।