ট্রাইব্যুনালের বৈধতা চ্যালেঞ্জ জিয়াউল আহসানের, আদেশ বুধবার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহিত দেওয়ার শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও জিয়াউল আহসানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার।
আবেদন শেষে জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা নাই। কারণ বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ হয়নি। যে কারণেই বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।
নাজনীন নাহার বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য। কিন্তু এখনকার মামলাটি হচ্ছে জুলাই-আগস্ট হত্যার ঘটনায়। এটি রাজনৈতিক বিষয়। এখানে কোনও যুদ্ধের বিষয় নেই। এই বিচার করার কোনও এখতিয়ার নেই।
অপরদিকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়াউল আহসানের আইনজীবীরা সরকার ও কোর্টের বৈধতা নেই বলে দাবি করেছেন। দ্বিতীয়ত তারা আরেকটি গ্রাউন্ড নিয়েছিলেন। সেটি হচ্ছে এই ট্রাইব্যুনালে যে অধ্যাদেশ উল্লেখ করা হয়েছে সেটি যে সরকার করেছিল তার বৈধতা নেই। একই সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রম করতে বর্তমান সরকারের বৈধতা নেই বলেও উল্লেখ করেন তারা।
এ কয়েকটি গ্রাউন্ডে তারা দাবি জানিয়েছিলেন যে, আসামিকে যেন অব্যাহতি দেওয়া হয়। আমরা এর বিপক্ষে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি তারা যেসব কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনালের সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। যদি তাদের এমন কিছু মনে হয় তবে সেটি চ্যালেঞ্জ করার জন্য সাংবিধানিক আদালতে যেতে পারেন। তা না করে একটি ফৌজদারি আদালতে তারা আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন। যেটি অকল্পনীয় বলেও মন্তব্য করেন তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, যে কোর্টে (আন্তর্জাতিক অপারাধ ট্রাইব্যুনাল) বিচার হচ্ছে সেটি ফৌজদারি কোর্ট। এই কোর্টেই তারা কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন করেছেন। যা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। এর জন্য সাংবিধানিক আদালত প্রয়োজন। আমরা এগুলো তুলে ধরেছি। একইসঙ্গে তাদের এমন অসাড় বক্তব্যের কারণে জরিমানা করার আবেদন করা হয়েছে।