দুদকের মামলায় শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের (দুদক) মামলায় শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তাঁর ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশও দেওয়া হয়।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের স্পেশাল পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনেছি দুদকের মামলায় শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে এমন একটি রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
দুদক যশোরের উপপরিচালক মো. আল-আমিন জানান, দুদকের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে তিনি এ রায়ের বিষয়ে অবহিত হয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
দুদক সূত্র জানায়, ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করায় ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আওয়ামী লীগনেতা শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য ছিল।
সম্পদ বিবরণীতে শাহীন চাকলাদার উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর মোট সম্পদ এক কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে এক কোটি এক লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তাঁর প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে মামলা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।