৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/08/gov_logo_1.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে আজ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
এরপর রাজনৈতিক দল ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ তারিখ ঠিক করা হবে।
এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। ওই দিন থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরু করবে। সেই কমিশন মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা শুরু করতে পারে।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি কমিশন প্রধানরা সংস্কার কমিশনের আশু করণীয়, মধ্য মেয়াদ এবং দীর্ঘ মেয়াদে কী করণীয় আছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী করণীয় বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর কমিশনের রিপোর্ট সকল রাজনৈতিক দল ও জুলাই অভ্যুত্থানের অংশীজনদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘পরবর্তীতে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি এবং রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক হবে। আমরা আশা করছি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ১ মাস ৩ দিনের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ছয়টি সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।