ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১১
চার দফা দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) লং মার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে ১১ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়।
আহতরা শিক্ষার্থীরা হলেন– নওগাঁ ম্যাটসের মেহরাব (২০), প্রাইম ম্যাটসের এরশাদুল হক (৩০), শ্যামলী ম্যাটসের জাহিদুল হাসান (২৬), সোহাগ (২২), আমানুল্লাহ (২০), ট্রমা ম্যাটসের সায়মা (২১), সুমাইয়া খাতুন (২০), তাহমিনা আক্তার তমা (২০), বরিশাল জমজম ম্যাটসের মোহাম্মদ রাসেল (২৩), গাজীপুর ম্যাটসের শিহাব (২০) ও কুষ্টিয়া ম্যাটসের আরাফাত (২১)।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, সচিবালয়ের সামনে থেকে আহত অবস্থায় ১১ শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যর প্রতিনিধিদল। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল বৈঠকের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহম্মদ উল্যাহ মানসুরসহ বৈঠকে যোগ দেন মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, শামিমুর রহমান সাগর ও আজহারুল হক রামিম।
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে আন্দোলনরত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ছাত্র প্রতিনিধি মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী।