স্ত্রী, সন্তানসহ সাবেক এমপি রণজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ও তার স্ত্রী নিয়তি রানি রায় এবং দুই সন্তানের বিরুদ্ধে পৃথক চার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ৫৫ লাখ তিন হাজার ২৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১৯ কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৭ টাকার সন্দেহভাজন অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। স্ত্রী, দুই সন্তান ও রণজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা/দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৬ কোটি ১২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৩ টাকা নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তার নিজ নামে ২৫ ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬৪ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিক দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী নিয়তি রানি রায় ও রণজিৎ কুমার রায়কে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর স্ত্রী ২১ ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ১০৬ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা রয়েছে।
তৃতীয় মামলায় তার ছেলে রাজিব কুমার রায় ও বাবা রণজিৎ কুমার রায়কে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন কোটি ৬০ লাখ এক হাজার ৬৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর রাজিবের ৬৯ ব্যাংক হিসাবে ১৬২ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সর্বশেষ চতুর্থ মামলায় তার ছেলে সজিব কুমার রায় ও বাবা রণজিৎ কুমার রায়কে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সজিবের ১৮ ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার ২০৯ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।