কমপ্লিট শাটডাউনে শেবাচিমে অচলাবস্থা

বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার শাটডাউন ঘোষণার পর আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনভর কলেজের প্রশাসনিক ও ছাত্র শাখার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কলেজের প্রধান দুটি গেট তালাবদ্ধ রয়েছে এবং গেট দুটিতে শাটডাউন লেখা ব্যানার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে এলেও কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করতে পারেননি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়নি। এতে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজে চলমান শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁদের এ আন্দোলন চলবে। আর কলেজ প্রশাসন বলছে, তারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছে। তারা উদ্যোগ না নিলে মেডিক্যাল কলেজের শূন্য পদে শিক্ষক পদায়ন সম্ভব নয়।
এর আগে শিক্ষক সংকট দূরের দাবিতে গতকাল সোমবার শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে। কলেজের প্রশাসনিক শাখা জানিয়েছে, কলেজে শিক্ষকদের ৩৩৪টি পদের মধ্যে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছে। বাকি ১৮৮ পদ শূন্য রয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শেবাচিমে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। কিছু বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যা চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে মেডিকেল কলেজের সব ডিপার্টমেন্টে শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বদলি করা শিক্ষকদের তাদের স্বপদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে।
শেবাচিম অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, শিক্ষার্থীদের এই দাবি যৌক্তিক এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।