সাবেক আইজিপি শহিদুলের আত্মীয়ের বাসা থেকে বস্তাভর্তি আলামত জব্দ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হকের কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দুই বস্তা আলামত জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে শহিদুল হকের আত্মীয়ের বাসা থেকে আলামতগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
আকতারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম শহিদুল হকের এক আত্মীয়ের বাসায় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তল্লাশি চলাকালে দুটি বস্তায় মোট ৩৮ প্রকৃতির ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিপুল সম্পদের দলিল, বিভিন্ন গোপনীয় চুক্তিপত্র, ডিড অব অ্যাগ্রিমেন্ট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, বন্ড, এফডিআর, সংঘ স্মারক, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণী ইত্যাদি।
দুদক জানায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক অসাধু পন্থায় বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, এমন অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রমের একপর্যায়ে দুদক গোয়েন্দা তথ্য পায়, শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্বলিত নথিপত্র তার একজন নিকট আত্মীয়ের কাছে দুটি বস্তায় ভরে পাঠিয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্যে আরও জানা যায়, নথিপত্রগুলো গোপন রাখার জন্য এক আত্মীয়ের কাছ থেকে আরেক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়। এসব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
এর আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাউন্ডেশনের নামে ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পায় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), যার প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।