সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরানের জামিন শুনানিতে যা হলো

মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় গ্রেপ্তার সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপরে বিকেল ৩টায় পুলিশ প্রহরায় হেলমেট, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় তিনি মুচকি হাসছিলেন।
শুনানির সময় আসামি ইমরান কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে চোখ বুঝে মাথা নিচু করে রেখেছিলেন। কখনো মাথায় হাত রেখে চিন্তা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে তার আইনজীবী কথা বলা থামিয়ে দেন। এরপরে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান পশু আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার করতেন। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে বলা হয়, ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি জামিন পেলে পলাতক হবেন না। নিয়মিত আদালতে হাজির হবেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলায় করেন।
মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম জেনিথ ও সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার পর গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।