শরীয়তপুরে পদ্মায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবি, নিখোঁজ ২

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে নোঙর করা একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় জাহাজে ঘুমিয়ে থাকা দুজন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল সংলগ্ন সাধুর বাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল বাল্কহেড ও নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। নদীতে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নড়িয়া ফায়ার স্টেশনের লিডার রওশন জামিল।
নড়িয়া থানা ও ফায়ার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বালুভর্তি একটি বাল্কহেড নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল সংলগ্ন সাধুর বাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে নোঙর করে বাল্কহেডের স্টাফ নড়িয়ার আল আমিন ও পিরোজপুরের আরিফ তারাবির নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে তারা দুজনেই বাল্কহেডের কেবিনে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এর পর আজ সকাল থেকে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নড়িয়া ও মাদারীপুর ফায়ায় সার্ভিস ডুবুরি দল বাল্কহেডটি উদ্ধার কাজ শুরু করলেও নদীতে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি। বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টারের ডুবুরিদল পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
নিখোঁজ আল আমিনের মামা হোসেন মাঝি জানান, আমার ভাগনে ২ মাস ধরে এই বাল্কহেডে কাজ করে। কাল রাতে নদীতে বাল্কহেডটি নোঙর করে কেবিনে আল আমিন ও পিরোজপুরের আরিফ ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ করে বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ায় কেউ বের হতে পারেনি।
নড়িয়া ফায়ায় সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার রওশন জামিল বলেন, বুধবার সকাল থেকেই কোস্ট গার্ড ও মাদারীপুর ফায়ায় সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজন ও বাল্কহেডটি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নদীর গভীরতা ১২০ ফুটের বেশি। গভীরে যেতে যেতে অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। তাই উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। বিকেল ৫টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টারের ডুবুরিদল পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বলেন, উদ্ধার কাজে নৌ-পুলিশ ও নড়িয়া থানা পুলিশ সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়া স্থানে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।