এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আগামী বছরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই নির্দেশ দেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সেই অনুযায়ী বেশ কিছু পজিশন পেপার প্রস্তুত করা হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বলতে পারি, ২০২৬ সালে যখন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হবে, তখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এর সক্ষমতাও বাড়বে।’
২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কথা রয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মধ্যে ছিল। আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, তা এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী তিন বছর অব্যাহত থাকবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে শুল্কমুক্ত বৈদেশিক বাণিজ্য সুবিধাসহ প্রায় সব ধরনের সুবিধা আর পাবে না। মেধাস্বত্ত্ব সম্পত্তি অধিকারের বাণিজ্য-সম্পর্কিত দিকগুলো (টিএরআইপি) কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। তবে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ উন্নীত হওয়ার পর আরও তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
এক বছর আগে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ১৬৬ জন সদস্য এই সুবিধার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।