সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন চাষি, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভার দেওপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান। তিনি দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সূর্যমুখী। ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক হাবিবুর রহমান। সূর্যমুখী চাষে বদলে গেছে আশপাশের দৃশ্যপট। দৃষ্টিনন্দন হলদে সূর্যমুখী ক্ষেতে ফুলগুলো যেন সূর্যের দিকে তাকিয়ে হাসছে। ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন বিকেলে সূর্যমুখীর ক্ষেতটি ঘুরে দেখতে আসছেন স্থানীয়রা।
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত বছর আমি কৃষি অফিসের সহায়তায় ১০ কাঠা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে লাভবান হয়েছি। সূর্যমুখীর চাষ লাভজনক হওয়ায় এ বছর দুই বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি।’
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর কমে যাওয়ায় সূর্যমুখী চাষ করছি। এ বছর সূর্যমুখীর চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছি। এ বছর খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুণ লাভের আশা করছি।’
এ সময় আরেক কৃষক তুহিন বলেন, ‘হাবিবুরের দেখাদেখি বরেন্দ্র অঞ্চলের লোকজন সূর্যমূখী চাষাবাদে ঝুঁকছেন। ভবিষ্যতে আমিও সূর্যমূখী চাষ করব।’
দেওপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে তরুণ চাষি ইমন বলেন, ‘আমরা এই গ্রামে ২০২১ সাল থেকে সূর্যমূখী চাষ করে আসছি। আমাদের সূর্যমূখী ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসছেন।’

এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সলেহ আকরাম বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম। সূর্যমুখী বীজ নভেম্বর মাসের দিকে রোপণ করতে হয়। বীজ রোপণের তিন থেকে চার দিনের মধ্যে চারা গজায়। দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণ করতে সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশা করছি।’