অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী আটক

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লাকী বেগম (১৯) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো.শাকিবকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিন উদ্দিনের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, মেলায় নাগরদোলায় উঠে স্ত্রীর গলায় ছুরিকাঘাত করেন স্বামী।
নিহত লাকী বেগম (১৯) বেগমগঞ্জ উপজেলার কালাপোল এলাকার বাসিন্দা এবং আটক স্বামী মো.শাকিব সদর উপজেলার মান্নান নগর বেদে পল্লী পাড়ার বাসিন্দা।
নিহতের মা শেফালী বেগম বলেন, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। লাকী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত ১৫ দিন আগে সে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসে। গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শাকিব তার স্ত্রীকে মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে নিজের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ভেঙে ফেলে এবং নিজের মাথা নিজেই আঘাত করে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে লাকীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিন উদ্দিন হাফেজের ওরসের মেলায় ঘুরতে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে নাগরদোলায় উঠে।
নাগরদোলায় থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এক নারীর বরাতে শেফালী বেগম বলেন, একপর্যায়ে নাগরদোলায় শাকিব তার স্ত্রীর গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. নাহিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার পথেই লাকি আক্তার মারা যায়। লাকি আক্তারের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাতের কারণে তার শ্বাসনালি পুরোটাই কেটে যায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।