আমার কাছে বিএনপিকে সন্তুষ্ট মনে হয়েছে : আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপিকে আমার কাছে সন্তুষ্ট মনে হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক বসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৈঠক শেষে আসিফ নজরুল বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। এর মানে আমরা ইচ্ছা করে নির্বাচন পিছিয়ে মে বা জুনের দিকে নেব, সেটা না। এর মানে হলো ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন এরমধ্যেই যদি সংস্কার হয়ে যায়, তাহলে দেরি কেন? আমরা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছি, জুলাই চার্টার প্রণীত হলেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা, নীতিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাঝে মাঝে সময় লাগে। যেমন ডিজিটাল সুরক্ষা আইন আমরা ২৩ বার জাজ করেছি, আমরা বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেওয়ার জন্য, বেশ কয়েক মাস সময় লেগেছে। সেজন্য আমরা বলেছি, পিন পয়েন্ট করতে পারব না।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা আছে, আমরা যেন বিচার করে যাই। আজকে বাংলাদেশে হাজারের বেশি তরুণ জীবন দিয়েছে। ৫০-৬০ হাজার মানুষ শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বিচারের দাবি এই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম গণ-আকাঙ্ক্ষা। আমরা যদি কোনো বিচার না করে যাই, কোনো বিচার না করে আমরা যদি ইলেকশন দেই, তহলে মানুষের কাছে, নিজের কাছে জবাব দেবো কীভাবে? ফলে নির্বাচন সংস্কার, বিচার এবং আমাদের সরকারের গৃহীত কিছু পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে। এজন্যই ডিসেম্বর থেকে জুন টাইমলাইন বলা হয়। এটা কোনোভাবেই জুনের বেশি যাবে না। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অযথা কালক্ষেপণের বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা আমাদের মধ্যে থাকবে না। যতটা সম্ভব সংস্কার আমরা করে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন : প্রধান উপদেষ্টার কথায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি : মির্জা ফখরুল
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপি সন্তুষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা বিএনপি মহাসচিবের বলার অবশ্যই অধিকার আছে। একটা আলোচনা একেকজন একেকভাবে পারসিভ করে। আমার কাছে উনাদের দেখে হ্যাপি লেগেছে, যার জন্য আমাদের ডায়ালগ শেষ হয়েছে। মনে হয়েছে, ওনাদের মনে যেসব প্রশ্ন ছিল সেগুলোর উত্তর ওনারা পেয়েছেন। আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। তাঁদের কাছে অন্য রকম মনে হতে পারে। তাঁরা যে আশঙ্কার কথা বলেছি, আমি বলেছি—এসব আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। এসব ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে তাঁদের মতামত বিবেচনায় নিয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে আরও সচেতন থাকব।’