স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে কোভিডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তরা

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে এবার আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন করোনাকালে ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনরতদের দাবি, বেতন না পাওয়া এবং চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় নতুন কোনো চাকরিতে যোগদানেরও সুযোগ না থাকায় সংসার নিয়ে পথে বসার উপক্রম তাদের। এই অবস্থায় শর্তহীনভাবে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবি এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করলেও বিকেল ৪টা থেকে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করেন আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মী।
এর আগে রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইআরপিপি প্রকল্পে নিয়োজিত আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পে নিয়োজিত ১০০৪ জন জরুরি জনবল ২০২০ সালে মহামারির শুরুতে সারা দেশের মানুষের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করি। এভাবে প্রতি বছর আমাদের চুক্তি নবায়ন করে কাজ চালিয়ে যাওয়া হয় এবং মৌখিকভাবে আমাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করা হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা বিকল্প চাকরির খোঁজ না করে এ প্রকল্পে অবিচলভাবে কাজ করে গেছি।
প্রকল্পে নিয়োজিত আন্দোলনকারীরা চার মাসের বেতন না পাওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের অর্থায়ন শেষ হলেও ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৫ম এইচপিএনএসপির আওতায় প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সিদ্ধান্ত মতে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মৌখিক নির্দেশনায় কাজ চালিয়ে গেলেও আজ চার মাস যাবৎ আমরা কোনো বেতন বা চুক্তি, প্রজ্ঞাপন কিছুই পাচ্ছি না। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মীর দাবি—
১. এক হাজার চারজন কর্মরত জনবলের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ।
২. চাকরি স্থায়ীকরণ।
৩. অতীতে প্রদত্ত ত্যাগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির যথাযথ মূল্যায়ন ও ক্ষতিপূরণ।