নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড কনফিডেন্স’ হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এক সেমিনারে এ কথা বলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, প্রবাসীদের ভোটের বিষয় এখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখানে তিনটি পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। ট্রাস্ট অ্যান্ড কনফিডেন্স আমাদের জাতি হারিয়ে ফেলেছে। সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসন আমলে নির্বাচন কমিশনের যে কর্মকাণ্ড— ভোটই হয়নি, প্রার্থী সিলেকশন হয়ে গেল। পৃথিবীর কোনো নির্বাচন কমিশন এটি এলাও করার কথা নয়।

মতিউর রহমান আকন্দ আরও বলেন, ২০১৮ সালে এক ঘটনা ঘটেছে, ২০২৪ সালে আরেক পদ্ধতি হয়েছে। এতগুলো ঘটনার কারণে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে ট্রাস্ট অ্যান্ড কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছে। আজকে আমরা আশা করতে চাই নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে এবং যে পদ্ধতি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে, তাদের একাউন্টিবিলিটি, রেস্পন্সিবিলিটি, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম এবং সাংবিধানিক যে ভাইভ সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এই সদস্য আরও বলেন, আমাদের দলীয় ফোরামে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। এখানে প্রক্সি ভোটের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ধরে নিলাম এক্স-ওয়াইকে প্রতি ভোটের জন্য মনোনীত করল। তাতে ওয়াই এক্সের মনোভাবকে এক্সিকিউট নাও করতে পারে। যেখানে ১৫ মিলিয়ন ভোটার আছে। এখানে টেন পার্সেন্টও যদি মিস ইউজ করে এক্সের প্রতিফলন না ঘটায়, তাহলে ভোটের ফল পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

মতিউর রহমান আকন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রবাসীদের ভোটারই করতে পারেনি। দিস ইজ ফাস্ট টাইম প্রবাসীরা ভোটার হয়ে ভোটের অধিকার পেতে যাচ্ছেন। উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাই। বিস্তারিত ভিডিওতে .....