বাবার মিলাদ অনুষ্ঠান ইউএনও-ওসিকে জানাতে গিয়ে হামলার শিকার ছেলে

প্রয়াত বাবার স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অবহিত করে ফিরে আসার সময় হামলা শিকার হয়েছেন ছেলেসহ স্থানীয় বিএনপি দুই নেতা।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউএনও অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হামলার শিকার মেজর (অব.) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ মিঠু সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম সানাউল্লাহর ছেলে। এ সময় তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন মরহুম সানাউল্লাহর ছেলে মেজর (অব.) শফিউল্লাহ মিঠু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান ও অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন চৌধুরী।
শফিউল্লাহ মিঠু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা বাবার স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আগামী শুক্রবার। উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামে আমার নিজ বাড়িতে এই দোয়া মাহফিল। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। তা ইউএনও ও থানার ওসিকে অবহিত করার জন্য আমরা গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে আসার সময় আমাদের ওপর হামলা হয়। রিয়াজুল হান্নানের নামে স্লোগান দিয়ে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হামলায় নেতৃত্ব দেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ইমরান হোসেন শিশির, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব মোরশেদ প্রতীক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির নজরুল ইসলামসহ ৩০ থেকে ৪০ জন এ হামলা করেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন সেলিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য নয়, আমরা গিয়েছিলাম মেজর মিঠু সাহেবের বাবা জন্য মিলাদ মাহফিলের বিষয়টি অবহিত করতে। রিয়াজুল হান্নানের নামে স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আত্মরক্ষার্থে আমরা থানা অবস্থান করছি।
ও বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মুহম্মদ আবদুল বারিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিরোধী পক্ষের লোক এ ঘটনা ঘটায়। তারা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আহতরা থানা আছেন। তাঁরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, আগামীকাল মে দিবস উপলক্ষে কিছু নেতাকর্মী মিছিল বের করে। তারা ইউএনও অফিস থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটি হয়। আমি যতটুকু জানি, সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে ওই বহরে ছিলেন না। ওখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনেছি।