ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার, থেমে আছে নতুন সেতুর কাজ

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চিরিঙ্গা এলাকার একটি পরিত্যক্ত সেতু দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ ও যানবাহন। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে সেতুটি পার হয় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরাও।
জানা যায়, ২০২০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতুটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে পাশেই ১০ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের আরেকটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের নভেম্বরে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং। নির্ধারিত সময় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। পরবর্তীতে সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করা হলেও তাও শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন কাজ চললেও গত বছরের আগস্টের পর থেকে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ। সেতুতে ব্যবহৃত রডসহ অন্যান্য সামগ্রী মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পরিত্যক্ত সেতুটি দিয়ে মানুষ ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ ও নবগ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ এবং প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন পার হয় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরোনো সেতুটি বছরে দুই-তিনবার ভেঙে পড়ে। মেরামতের জন্য স্থানীয় চাঁদার টাকার ওপর নির্ভর করতে হয়।
স্থানীয়দের দাবি, নতুন সেতুটি দ্রুত নির্মাণ সম্পন্ন করা গেলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হবে।
কাজ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী শিফটন জানান, ২০২৪ সালের বন্যায় নির্মাণসামগ্রী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। সমস্যা সমাধান হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ পুনরায় শুরু হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।

কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসলাম হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ শেষ করতে না পারায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কাজ আবার শুরু হবে।