বিয়ের প্রলোভনে যৌনকর্ম আইন কেন বাতিল হবে না হাইকোর্টের রুল

বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মের অপরাধে শাস্তি নির্ধারণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (৪ মে) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালেদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে আইন সচিবসহ দুজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জানান, এ আইন শুধু পুরুষদের জন্য করা হয়েছে। আবার আইনে কোথাও বিবাহিত অবিবাহিত কিছুই উল্লেখ নেই। কোনো বিবাহিত নারী যদি বাচ্চা থাকার পরও অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে শাস্তি তো পুরুষটা পাবে। এ আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
গত ৭ এপ্রিল ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের’ পক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশিদুল হাসান আবেদনকারী হিসেবে রিটটি করেন।
২০০৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনটি সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আইনে সংশোধনী আনা হয়। চলতি বছরের ২৫ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করা হয়।
অধ্যাদেশের ৫ ধারায় বলা হয়, ওই আইনের ধারা ৯ক-এর পর নতুন ধারা ৯খ সন্নিবেশিত হবে। আর ৯খ ধারায় বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করলে দণ্ডের বিষয়ে বলা আছে। এর ভাষ্য, যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ছাড়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ বছরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি ওই ঘটনার সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অনধিক সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।