কালকিনিতে স্কুলে কোচিং, প্রাইভেট ও মডেল টেস্ট বন্ধে পরিপত্র

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট বাণিজ্য ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা বন্ধ রাখতে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমি, সাহেবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মডেল টেস্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগের পরিপেক্ষিতে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট বাণিজ্য ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা বন্ধ রাখতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে বিপুল অর্থ আদায় করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা। বিষয়টি গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনায় উঠে আসে। এরপর সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট ও মডেল টেস্ট বন্ধ রাখার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা দোষী শিক্ষকদের বিচার চাই। আমাদের টাকা ফেরত চাই।’
সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, ‘মডেল টেস্ট পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা প্রায় ছয় লাখ টাকা তুলেছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার কিছু বিদ্যালয় মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু করেছিল। পরে মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা বন্ধ রাখতে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার নামে যে কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘মডেল টেস্ট পরীক্ষার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একটি পরিপত্র জারি করেছেন। মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে টাকা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’