পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা, সন্তানদের হত্যাচেষ্টার পর নিজের গলা কাটলেন যুবক

কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রী মেঘলা খাতুনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা এবং বড় মেয়ে কুলসুম (৪) ও ছোট মেয়ে জান্নাতকে (২) হত্যাচেষ্টা করেছে মামুন নামের এক যুবক। এরপর নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯টাযর দিকে শহরের হরিশংকরপুর মামুনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মামুন ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মামুনের স্ত্রী মেঘলা খাতুন (৩০) কিছুদিন আগে ঢাকায় এক পুরুষের সঙ্গে চলে যান। পরকীয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কিছুদিন আগে মেঘলা আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। ফেরার পর থেকেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এ ঘটনার রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মামুন স্ত্রী মেঘলাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এরপর তার দুই মেয়ে- কুলসুম (৪) ও জান্নাতকে (২) আছাড় মেরে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে মামুন নিজেই গলা ও ঘাড়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত চারজনকেই উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা খাতুন মারা যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব হাসান জানান, চারজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে মেঘলার মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও দুই কন্যা শিশুকে হত্যাচেষ্টার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে মামুন নামের এক যুবক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মেঘলার মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। বিষয়টি তদন্ত করার পর বিস্তারিত জানা যাবে।