হাসান আল মামুনের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। সবার মানবিক সহযোগিতা নিয়ে মো. হাসান আল মামুন বাঁচতে চায়। তাই জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শুধু একটি আকুতি—‘আমি বাঁচতে চাই।’
মো. হাসান আল মামুন চাঁদপুর জেলার এক নম্বর ইউনিয়নের মনোহরখাদী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০৮ সালে রাজধানীর কল্যাণপুরের নলেজ ভিউ একাডেমি থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করার পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। পড়াশোনার স্বপ্ন আর সামনে অগ্রসর হয়নি দারিদ্রতার কারণে। কিন্তু হঠাৎই সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ২০২৫ সালে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছে।
সেই থেকে শুরু হয় হাসান আল মামুনের দীর্ঘ, যন্ত্রণাময় জীবনযুদ্ধ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চিকিৎসা শুরু করে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন, ঔষধ সব মিলিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মেসবাহ উদ্দিন নোমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। এখন পর্যন্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
বাঁচতে হলে জরুরি ভিত্তিতে এবিও-ইনকম্পিটিবল পদ্ধতিতে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করতে হবে, যার ব্যয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী অনেকেই সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা এখনও অনেক কম। পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মাত্র একজন।
অর্থের সংস্থান না হওয়া পর্যন্ত ডাক্তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের তারিখ প্রদান করতে পারছেন না। বিলম্বের জন্য ক্রমেই তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডাক্তার আশাবাদী দ্রুত কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে পারলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
সহায়তা প্রদানের জন্য
বিকাশ (পার্সনাল): ০১৮৭৩৯৫৫৩১৫ (মো. হাসান আল মামুন)
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (IFIC Bank, Golapbagh Uposhakha, Dhaka under Stock Exchange Branch)
Account Name: Md. Hasan Al Mamun
Account No : A/C No. 0220144797851
Routing No : 120271706
কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি মো. হাসান আল মামুনর চিকিৎসার ব্যয়ভার (আংশিক বা সম্পূর্ণ) নিতে পারেন। টাকা পাঠাতে হবে না। আপনার সরেজমিনে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রদান করতে পারেন। আপনাদের প্রত্যেকের একটু একটু সহায়তায় তাকে নতুন জীবন দিতে পারে। আসুন, আমরা যার যার জায়গা থেকে একটু এগিয়ে আসি। আপনার একটুখানি সাহায্য দেবে একটি পরিবারকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ।