শেখ হাসিনার আমলের সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি এনসিপির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে হওয়া জাতীয় ও স্থানীয় সব ধরনের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার (২৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে হওয়া জাতীয় ও স্থানীয় সব পর্যায়ের নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে বলেছি। কারণ এই সমটায় শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় ইলেকশন করেছিল এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। রাতের নির্বাচন হয়েছে, ডামি প্রার্থীর ভোট হয়েছে, সেই নির্বাচনগুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই নির্বাচনগুলোকে সেই সময়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন সময়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, সেই নির্বাচনগুলো থেকে আবার আদালতে নিয়ে গয়ে এক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতে পূর্বের নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবেই অবৈধ ঘোষণা যাতে করা হয়।’
বৈঠকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের একটি দাবি ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ কার্যদিবসের কথা আমাদের বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, আমরা এ আহ্বান জানিয়েছি। ড. ইউনূস স্যারের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া ধীরগতিতে এগোচ্ছে। আমরা বলেছি, তাদেরকে যেন দ্রুত প্রতিশ্রুত আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে যাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেন দ্রুত আয়োজন করা হয়। এর ফলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার এবং চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, জুলাই সনদ ঘোষণা এবং গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন, এই তিনটির একটি সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ যাতে সরকার একত্রে ঘোষণা করে। আমাদের গণঅভ্যুত্থানের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার ও বিচার সেটি এর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব।’