কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আরোহী একজন কোরআনে হাফেজসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও তিনজন।

আজ শুক্রবার (৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া চৌরাস্তা এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী গ্রামের গন্দি বাড়ির দুলাল মিয়া (৪৫) ও তারাকান্দি গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিন (৬০)।

এ ছাড়া গুরুতর আহত সাব্বির হোসেনকে (২১) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজায়েত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে ঈদের বাজার করতে কিশোরগঞ্জে যাচ্ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী গ্রামের হতাহত হওয়া ওই তিন যুবক। কোদালিয়া চৌরাস্তা মোড় অতিক্রম করার সময় একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৫১৪৭) পিছন দিক থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুলাল মিয়া ও শাহাবুদ্দিনের মৃত্যু হয় এবং সাব্বির আহত হন। দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং দুর্ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন আছে।

বাসচাপায় কোরআনে হাফেজ নিহত

এদিকে, আজ সকালে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে বাসচাপায় নিহত হয়েছেন সারোয়ার হোসেন (১৫) নামে একজন কোরআনে হাফেজ। সকাল ৯টার দিকে গাজীপুর-পাকুন্দিয়া-নান্দাইল সড়কের পাকুন্দিয়া উপজেলার বরাটিয়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজায়েত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সারোয়ার হোসেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অরন্যপাশা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার মালেক মিয়ার ছেলে আশরাফ আলী (২০) ও মারুফ রহমানের মেয়ে জেবিন আক্তার (১৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আজ সকালে ঢাকা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন হাফেজ সারোয়ার হোসেন। এসময় পাকুন্দিয়ার বরাটিয়া এলাকায় পৌঁছাতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির বাস সিএনজিটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হন সিএনজির আরও দুই যাত্রী আশরাফ আলী ও জেবিন আক্তার। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

এসআই মো. সুজায়েত জানান, হতাহতের পরিবারের সদস্যরা আসলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।