গোপালগঞ্জ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগনেতা জি এম সাহাব উদ্দিন আজমকে (৫৮) গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনটি হত্যাসহ পাঁচ মামলার আসামি। তাঁর স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে রাখা হয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে। মেডিকেল ভিসায় সস্ত্রীক ভারতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট থেকে তাকে প্রেপ্তার করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, সেনাবাহিনীর ওপর হামলা, গাড়ি পোড়ানো ও অস্ত্র লুট, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুর এবং যাত্রাবাড়ী থানায় করা পৃথক দুটি হত্যা মামলা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ওপর হামলা মামলার এজাহার নামীয় আসামি জিএম সাহাব উদ্দিন আজম। তাঁকে রাত ৯টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সদর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুশ্রী রায় তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, আজমের স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে (৩৭) সেনাবাহিনীর ওপর হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকেও রাতে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান জানান, রাত সাড়ে ৯টায় জি এম সাহাব উদ্দিন আজমকে জেলা কারগারে আনা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মেডিকেল ভিসায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে গতকাল সকালে জি এম শাহাব উদ্দিন আজম ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যান। কিন্তু আজমের পাসপোর্ট লক থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে রাতে তাঁদের গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসে।