ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবীরা
পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। আবার অনেকেই ১০ দিনের ছুটির শেষ সময়ও গ্রামে যাচ্ছেন। এতে সড়ক পথে বাড়তে শুরু করেছে চাপ। বাড়ছে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যান চলাচলও।
আজ বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের রাজধানীতে ফিরতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ঢাকার প্রবেশ মুখেও পরিবহণের চাপ চোখে পড়ে।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফেরা চাকরিজীবী রাজিব হোসেন বলেন, রাস্তাঘাটে যানজট নেই। সব দিক থেকে ভালোই ছিল। স্বস্তিতে ফিরতে পেরেছি।
বেলা ১টার দিকে সায়েদাবাদে কথা হয় নোয়াখালী থেকে আসা অপর যাত্রী রাসেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি। ভালোভাবে ফিরতে পেরেছি। রাস্তায় যানজটের সমস্যায় পড়তে হয়নি।
সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরা আরেক যাত্রী সুম্মিত জামান চৌধুরী বলেন, ‘ছুটির শেষের দিকে এলে টিকিট পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। এ ছাড়া সে সময় মানুষের চাপ ও রাজধানীতে অনেক বেশি যানজট হবে। এ জন্য আগেই ফিরেছি।’
ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ হবে আগামী শনিবার। এখনও অনেকেই যাচ্ছেন গ্রামে। কেউ কেউ আবার যাচ্ছেন পরিবার স্বজন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে।
কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে কিছুটা সময় বিলম্ব হচ্ছে। যে কারণে ট্রেনগুলো ঢাকায় ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে ট্রেনগুলো সঠিক সময় ছাড়ছে।
যাত্রীরা যাত্রা পথে কোনো ভোগান্তি না পোহালেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অভিযোগ তুলছেন।
ঈদের ছুটি শেষে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রী জাকির হোসেন বলেন, কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ২০০ টাকার ভাড়া নিয়েছে ২৫০ টাকা। তারপরও তাড়াতাড়ি ও নিরাপদে ঢাকায় আসতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।