‘সারের আমদানি কমাতে বন্ধ কারখানাগুলো চালু করা হবে’

সারের আমদানি কমাতে দেশের সব বন্ধ কারখানা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিপুল ডলার বিনিয়োগ করে বিদেশ থেকে সার আমদানি করায় সরকারকে ভর্তুকি গুনতে হয়। তাই গ্যাস আমদানি করে সার উৎপাদন করা হবে—বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। মাগুরা সদরের শিমুলিয়ায় বিসিআইসি বাফার গুদামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বিসিআইসির আয়োজনে মাগুরা-আড়পাড়া সড়কের শিমুলিয়া মৌজায় সাড়ে পাঁচ একর জমির ওপর ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার ধারণ ক্ষমতার এই গুদাম নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি টাকা। আগামী ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সার গুদাম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও জানান, দেশে মাত্র একটি সার কারখানা চালু রয়েছে যা ঘোড়াশালে অবস্থিত। বাকি কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। পূর্ণাঙ্গভাবে কোনো কারখানা চালু নেই। সার কারখানার মূল কাঁচামাল গ্যাস। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস দিতে গিয়ে সরকার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ, জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ অন্যান্যরা।