কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যশোরের কেশবপুর উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র আটজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে প্রায় তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা। অথচ এখানে মোট ৩১ জন ডাক্তারের প্রয়োজন। ২০২৫ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত এই হাসপাতালে ৪৩ হাজার ২৬৭ জন রোগী ইনডোর ও আউটডোর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৩০ জন, মারা গেছেন ৩৫ জন।
গত আট মাস ধরে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের জন্য জরুরি এআরভি ভ্যাকসিন নেই। এ সময় ১ হাজার ৩১২ জন আক্রান্ত হলেও সরকারি ভ্যাকসিন এসেছে মাত্র ২০ ভায়াল। যার কারণে রোগীদের বাইরে থেকে কিনে নিতে হচ্ছে ভ্যাকসিন, যা গরিব মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য।
হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে ২৩ জনের পদ শূন্য। শিশু বিশেষজ্ঞ সপ্তাহে একদিন, গাইনি ডাক্তার আসেন তিনদিন। চক্ষু রোগের কোনো বিশেষজ্ঞ নেই।
রোগীরা অভিযোগ করেন, অনেক ডাক্তার নিয়মিত না থেকে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে বেশি সময় দেন। ফলে হাসপাতালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরতে হয়।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, এই হাসপাতালে ৩১ চিকিৎসকের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র আটজন। এই জনবল নিয়ে তিন লাখ মানুষের সেবা দিতে হচ্ছে। এতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চাহিদা অনুযায়ী লোকবল পাওয়া গেলে রোগীদের সেবা দিতে অসুবিধা হবে না।