ডা. জুবাইদার জন্মদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজে বৃক্ষরোপণ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ব্যাচ কে-৪৩)-এর কৃতী শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং বাদ আসর কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডা. জুবাইদা রহমান আপা এই মেডিকেল কলেজের কে-৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এই কলেজ, আলিম হল—সবকিছুই তাঁর পদচারণার স্মৃতিবহ। তুখোড় মেধাবী এই চিকিৎসক বিসিএসে (স্বাস্থ্য) প্রথম স্থান অর্জন করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁকে সে চাকরিতে থাকতে দেয়নি। তবুও তাঁর একাডেমিক উৎকর্ষ থেমে থাকেনি। তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে হৃদরোগ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি এমএসসি অর্জন করেন, সর্বোচ্চ নম্বর ও স্বর্ণপদকসহ। ৫ আগস্টের পর, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের মাধ্যমে তাঁর চাকরি পুনর্বহালের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তিনি ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশের মানুষের জন্য তাঁর মেধা ও দক্ষতা দিয়ে চিকিৎসাসেবায় অবদান রাখবেন।
জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পর্কে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবসময় পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে। আপনারা জানেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেবল গাছ উপহার দিয়ে কীভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছিলেন। আজও সেই নিমগাছ সৌদি আরবে ‘জিয়া ট্রি’ নামে পরিচিত। তাঁরই ধারাবাহিকতায় জিয়া পরিবারের একজন সদস্যের জন্মদিনে, তাঁর প্রিয় এই ক্যাম্পাসে নিমসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ছাত্রী হোস্টেল, মিলন অডিটরিয়াম ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ফলদ ও ঔষধি গাছ রোপণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহাম্মদ, অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধান ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন, নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আসাদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র, প্ল্যাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফোয়ারা তাসনীম পামী, বিএমডিসির কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নুরুজ্জামান খান খসরু, সহযোগী অধ্যাপক জাকারিয়া আজিজ, কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞ ডা. মেজবাহ উদ্দিন নোমান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মাহমুদুর রহমান নোমান, গাইনি অনকোলজিস্ট ডা. মির্জা আসাদুজ্জামান রতন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতারাসহ সব স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।