বেহাল সড়ক, বৃষ্টিতে বাড়ে ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক যেন আর সড়ক নয়, পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের গর্তে জমে থাকে পানি। ডুবে থাকা এসব গর্তে চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। জনদুর্ভোগের চরম উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি।
আজ সোমবার (৩০ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ। এতে যেমন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রীদের, তেমনি স্থবির হয়ে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য। আগে যেখানে এই পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা লাগত, এখন লাগছে তিন ঘণ্টা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও পণ্যবাহী পরিবহণ।
এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় চালক ও পথচারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভারী যানবাহন ও পাওয়ার টিলারের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পানিতে ঢেকে যায় পুরো রাস্তা। কোথায় গর্ত, কোথায় সড়ক—তা বোঝা যায় না। এতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে, বাড়ছে মেরামতের খরচ।
সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও বিভিন্ন পরিবহণ। স্থানীয়রা জানান, যানবাহনের চাপে এবং দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে সড়কের বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
বিজয়নগর উপজেলার প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, ‘সড়কটি দিয়ে বড় ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই সড়কটির উন্নয়নের প্রস্তাব পাঠানো হবে।’

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের আশ্বাস তাঁরা আগেও বহুবার শুনেছেন। বাস্তবে কোনো কাজই দৃশ্যমান হয়নি। প্রতিদিন প্রাণহানি ও আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলাচল করছেন হাজারও মানুষ। তাঁদের দাবি, প্রতিশ্রুতি নয়—এবার দরকার দৃশ্যমান ও টেকসই সংস্কার।