বিমান বিধ্বস্ত : বোনের পাশেই শায়িত হলো ভাই

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত নাজিয়ার পাশেই চিরশায়িত হয়েছেন ভাই নাফি।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাজিয়া। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আর ৯৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ-১০ নম্বর ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল নাফি। বোনের মত নাফিও গতকাল রাত ১২টা ১৫ মিনিটে চির বিদায় নেয়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ নাফি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ছিল।
দুই সন্তান নাজিয়া ও নাফির ভালো পড়াশোনার জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন ভোলার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আশরাফুল ইসলাম। ছেলে-মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। থাকতেন কামারপাড়া এলাকায়। ১৩ বছরের নাজিয়া তাবাসসুম পড়তো স্কুলটির তৃতীয় শ্রেণিতে, আর ৯ বছরের আরিয়ান আশরাফ নাফি প্রথম শ্রেণিতে। কিন্তু সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর একে একে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন আশরাফুল।
দুই শিশুর মামা মো. ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার বোন ও দুলাভাই দুজনই ভেঙে পড়েছেন। সবার কাছে দোয়া চাই।

ইমদাদুল আরও বলেন, তার বোনের জামাই আশরাফুল ইসলাম ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার ঢাকার কামাড়পাড়া এলাকায় তার ভাগ্নির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে বেনের পাশেই ভাইয়ের দাফন হয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল নাজিয়া ও নাফি।