ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৭ শতাংশ মানুষ-জমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা সবাই বুঝি কী হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৩০ বছরের যে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেটি আগামী বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে।
রোববার (২৭ জুলাই) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
দেবপ্রিয় প্রত্যাশা করেন, আগামী বছর নতুন সরকার এলে যেন বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষাকারী গঙ্গা চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি, পেশাগত ও রাজনৈতিক দিক থেকে যৌক্তিক আলোচনা করার মতো সক্ষমতা তাদের থাকে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজকে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে করে আগামী বছর যখনই এই আলোচনাটা সূত্রপাত হবে আমরা যেন পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ওখানে যেতে পারি।
পদ্মা ব্যারেজ প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যদি ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হয়, তাহলে যে সরকার আসবে তাকে বর্তমানে চলমান বাজেটটি সংশোধন করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেই সংশোধনের ভেতরেই যেন এই প্রকল্পটিকে হালনাগাদ করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়।
দেবপ্রিয় আরও বলেন, নতুন সরকার আসার পর তাকে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, উচ্ছেদকৃত সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার এসে তা স্থগিত করেছে ও কোনো মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করেনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, আগামী সরকারের প্রথম কাজ হবে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা করা, যা বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানসহ বহুবিধ কাজে লাগবে।
দেবপ্রিয় প্রত্যাশা করেন, নতুন সরকার আসার পর সংশোধিত বাজেটে যদি এই প্রকল্পটিকে পুনর্মূল্যায়ন ও আধুনিকায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাহলে এটি মধ্যমেয়াদি নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরের প্রকৃত অর্থায়নের তালিকায় সংযুক্ত হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।