গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘরে তালাবদ্ধ করে আগুন লাগিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘরের ভেতর স্ত্রীকে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি- এমনটাই অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

শনিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইদ্রবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা রাতের আঁধারে বসতঘরে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে ভেতরে থাকা ওই নারীর পুড়ে মৃত্যু হয়।

নিহত গার্মেন্টস কর্মীর নাম মারুফা আক্তার (৪৫)। তিনি ইদ্রবপুর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং স্থানীয় মোশাররফ স্পিনিং মিলসের একজন শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অভিযুক্ত স্বামী মো. মিজানুর রহমান (৪৫) একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ওষুধের দোকানদার। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

নিহতের ছোটবোন নাজমা আক্তার বলেন, শনিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। দেখি মূল ফটক তালাবদ্ধ। স্থানীয়রা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আরও দুটি ঘরের তালা ভেঙে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ততক্ষণে আমার বোন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

নিহতের ভাই মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে ছিল। গত ১৫ দিন ধরে মিজান বোনকে ঘর থেকে বের হতেও দিচ্ছিল না। পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে মিজানুর পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। এ সময় ঘাতক মিজান দুটি থাকার ঘর ও মূল ফটক তালাবদ্ধ করে। আলামত সংগ্রহের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে কাজ করছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।