‘বনভূমি ২০ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে সরকার’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২০ শতাংশে উন্নীত করতে সুপরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ করবে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বন ভবনে বন বিভাগের উন্নয়ন বিষয়ক এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, বনভূমির আয়তন বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের নদীর জেগে ওঠা নতুন চর, উপকূলীয় এলাকা ও পতিত জমিতে বনভূমি সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বন কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বনভূমি বৃদ্ধির পাশাপাশি বনাঞ্চল সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন বিভাগের কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও ফলপ্রসূ করতে ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে কর্মচারীগণ বিধিমোতাবেক বনের উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত থাকতে পারেন।
এ ছাড়াও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ‘এলিফ্যান্ট করিডর রেস্টোরেশন’ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে ও ক্যাপটিভ হাতির জন্য বিশেষ অরফানেজ স্থাপন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
‘এছাড়া, মধুপুর এলাকায় কমিউনিটি ট্যুরিজমের সুযোগ সৃষ্টি করে স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ এক সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য প্রতি ভালোবাসা জাগাতে রাজধানীর পূর্বাচলে একটি অত্যাধুনিক নেচার লার্নিং সেন্টার স্থাপন করা হবে’, যোগ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বন শুধু গাছের সমষ্টি নয়, এটি আমাদের জীবনের রক্ষাকবচ। বনভূমি বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, যুগ্মসচিব (বন) শামিমা বেগম, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।