খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় চেঙ্গী নদীর ভাঙনে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ বাবুপাড়া গ্রামের গাঙকুল সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। বর্ষার শুরু থেকেই প্রবল স্রোত ও বৃষ্টিতে নদীভাঙন শুরু হলে সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহাদাৎ হোসেন জানান, বর্তমানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান না থাকায় সড়ক সংস্কারে কোনো প্রকল্প নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ও গ্রামবাসীকে এ সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুপাড়া গ্রামের গাঙকুল শ্মশানের রাস্তাটির তীরবর্তী অংশে মাটি ধসে বড় একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ বর্ষায় যেকোনো সময় সড়কটি পুরোপুরি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এই সড়কটি স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও শ্রমজীবীদের একমাত্র যাতায়াত পথ। ভাঙনের ফলে শ্মশানে যাওয়ার পথও হুমকিতে পড়েছে, ফলে কারও মৃত্যু হলে শেষকৃত্য সম্পাদনে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানালেও কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বৃষ্টি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিপন চাকমা বলেন, প্রতিদিন শতাধিক মানুষ এ পথে যাতায়াত করে। রাস্তাটা একেবারে ধসে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হবে।

বাবুপাড়ার বাসিন্দা অসিত বরণ চাকমা জানান, স্থানীয় শ্মশান ঘাটে যাওয়ার একমাত্র পথ এই সড়ক। দ্রুত সংস্কার না হলে চাকমা সম্প্রদায়ের শেষকৃত্য কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রায়হান বলেন, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত এই সড়কটিকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।