গোপালগঞ্জে রাস্তার অভাবে ঝুঁকি নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে যাতায়াত

গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাড়ারগাতী এলাকায় সরকারি কাড়ারগাতী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সার্বজনীন হরি মন্দির উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রে শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী বর্ষার চার মাস জুড়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা না থাকার কারণে বর্ষার সময় জমিতে পানি উঠলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কাদা ও হাঁটুপানিতে হেঁটে অথবা নৌকায় পারাপার হয়। নৌকায় ওঠার জন্য বাড়তি খরচ এবং মাঝে মাঝে নৌকা ডুবে যাওয়ার শঙ্কাও থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ লাইন্সের পাশ থেকে দুটি পাকা রাস্তা সরকারি বাড়ি ও মজুমদার বাড়ি পর্যন্ত যায়, তবে এর মাঝে ৩০০ মিটার রাস্তা নেই। শুকনো মৌসুমে ওই অংশে ধানক্ষেতের আল দিয়ে চলাচল হলেও বর্ষায় পানি বাড়লে এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, এই রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ছে। অনেক সময় তারা নৌকায় পার হতে ১০ টাকা খরচ করে। কয়েকবার নৌকা ডুবে যাওয়ায় বইপত্র ভিজে যায়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানসিক কষ্ট পাচ্ছেন। এলাকাবাসী রাস্তা নির্মাণের জন্য জমি দিতে প্রস্তুত।
কাড়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরু কামরুন্নাহার জানান, বিদ্যালয়ে ২১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, তার মধ্যে ৭৬ জন ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তার কারণে স্কুলে আসে। রাস্তা না থাকায় শিশুরা অন্যের বাড়ির ওপরে দিয়ে হেঁটে আসতে বাধ্য হয়, যা স্থানীয়দের অসন্তোষের কারণ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জ্যোৎস্না খাতুন জানান, এলাকাবাসী রাস্তাটি নির্মাণের জন্য একটি আবেদন দিয়েছেন। এই আবেদন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে গেছে এবং তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট জমির মালিকরা যদি জমি দানের বিষয়ে অনাপত্তিপত্র প্রদান করেন, তবে তারা দ্রুত রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করবেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।