জাকসু নির্বাচন ঘিরে ১২০০ পুলিশ মোতায়েন, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ক্যাম্পাস

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে এক হাজার ২০০ পুলিশ সদস্য। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সূর্যাস্তের আগেই বিভিন্ন জেলা থেকে আনা পুলিশের গাড়িগুলো ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে শুরু করে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আরাফাত ইসলাম জানান, ‘জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবেন। শুধু মোতায়েন করা হবে এক হাজার ২০০ পুলিশ।’
ইতোমধ্যে পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমকর্মীদেরও পেশাগত পরিচয়ের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আলাদা পরিচয়পত্র ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকবেন এবং পুলিশ ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
জাকসু নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে 'স্ট্রাইকিং ফোর্স' হিসেবে চেয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে দূরে হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি আমরা সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে চেয়েছি এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করা হয়েছে।’
এবারের জাকসু নির্বাচনে কয়েকটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ২১টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।