নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে সিইসিকে জাপার একাংশের চিঠি

জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে প্রতিকার চেয়ে দলটির একটি অংশ চিঠি দিয়েছে। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ চিঠি দিয়েছেন জাপার আনিসুল ইসলাম অংশের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান।
জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই জি এম কাদের অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখতে গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এর পরদিন আজ সিইসিকে চিঠি দিয়ে নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্তির প্রতিকার চাইল অপর অংশ।
সিইসির উদ্দেশে আনিসুল ইসলাম অংশের লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ওই কাউন্সিল-সংশ্লিষ্ট সব প্রয়োজনীয় নথি ও দলিলপত্র যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার আবেদন ও অনুরোধ সত্ত্বেও এখনও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পুরনো তথ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এর ফলে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম যথেষ্ট বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নম্বর ১২ এবং প্রতীক লাঙ্গল-সংবলিত করে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম যথাযথভাবে প্রতিস্থাপন করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হলো।
জাপা গঠনের পর ছয়বারের মতো দলটি ভাঙনের মুখে পড়ে। এরশাদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রওশন এরশাদপন্থি, জি এম কাদেরপন্থিদের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। মাঝে বিদিশা এরশাদের আওয়াজও শোনা যায়। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জি এম কাদেরকেই লাঙ্গল প্রতীক দেয় ইসি। বর্তমানে অপর দুই পন্থির কোনো আওয়াজ না থাকলেও ফের শুরু হয়েছে লাঙ্গল নিয়ে টানাটানি।
জাপার ভাঙন নিয়ে ইতোমধ্যে সিইসি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জাতীয় পার্টির নাম শুনলে আমি কনফিউজড হয়ে যাই। জাপা আসলে কার?