হিন্দুদের পূজা উদযাপন নসাৎ করতে খাগড়াছড়ির ঘটনা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়ির গুইমারায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা উদযাপনকে নসাৎ করতে খাগড়াছড়ির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ের অবস্থা শান্ত রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংসতা নিয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
খাগড়াছড়ির বর্তমান অবস্থা কী, এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে পাহাড়ের অবস্থা শান্ত। সেখানে এখন মোটামুটি কোনো সমস্যা নেই। এই জিনিসটা করা হয়েছিল যাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ভালোভাবে পূজা উদ্যাপন করতে না পারেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে করতে হয়। তারা যাতে ভালোভাবে এটা উদ্যাপন করতে না পারেন, এটা ছিল কিছু কিছু লোকের উদ্দেশ্য। সেটিই তারা করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।
এর আগে খাগড়াছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় স্থানীয় তিনজনের প্রাণহানি এবং সেনা ও পুলিশসহ সাধারণ জনগণ আহতের ঘটনায় অপরাধীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনার পরদিন (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অবরোধকারীদের হামলায় সেনাবাহিনীর সদস্যসহ ২৫ জন আহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা বেশ কিছু দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়। জনগণের জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।