তৈরি পোশাক খাতকে ৫ বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে

২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাকের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়নে পৌঁছাতে হলে পাঁচটি বিষয়ে ভালো করতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্দর, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং কারখানার জন্য জায়গা বরাদ্দ।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে সিইবিএআইয়ের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব বিষয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন আর পিছিয়ে নেই। এখন বিশ্বের ১০টি সেরা পোশাক কারখানার মধ্যে সাতটি বাংলাদেশের। এতে প্রমাণিত হয় আমরা কতটা উন্নতি করছি।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পোশাক খাতের প্রধান দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের পরে আমাদের তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের আন্দোলন এসব অগ্রগতি ম্লান করে দিয়েছে। এ কারণে ক্রেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বলেন, এখন আমাদের সব কারখানাতেই শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। কারখানাতে শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হলে ইউনিয়নের নেতা এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। কারখানা বা কাজ বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিইবিএআইয়ের পরিচালক রেজাউল হাসনাত ডেভিড। বৈঠকে বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান বক্তব্য দেন।
মজুরি বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ঢাকার আশুলিয়ার ১০টির বেশি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আজ সোমবার সকালেও বিক্ষোভ করে।