মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬.১৯%

মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, গত এপ্রিলের চেয়ে মূল্যস্ফীতি কমে মে মাসে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাসস জানিয়েছে, আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থসহ সব পণ্যের দাম কমছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ ছাড়া ভারতেও মূল্যস্ফীতি কমায় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, শহরের তুলনায় গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে মে মাসে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
গ্রামে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে মে মাসে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মে মাসে দশমিক দুই শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।
খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।