বেসিক ব্যাংকের অর্থ লুটে জড়িত তিনজন : অর্থমন্ত্রী

বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের সিলেট জিন্দাবাজার শাখা থেকে ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে দুই কোটি নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক তিন কর্মকর্তা জড়িত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বেসিক ব্যাংক জিন্দাবাজার শাখায় জড়িত তিন ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন—সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক পারবান চৌধুরী, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা কামাল এবং সাবেক ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ চৌধুরী। জালিয়াত চক্রের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে দুই কোটি নয় লাখ টাকা সুকৌশলে আত্মসাৎ করে, যা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় উদঘাটিত হয়েছে। তবে এ চক্রের প্রত্যেকে পৃথকভাবে কত টাকা নিয়েছেন, তা ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় আলাদাভাবে উল্লেখ নেই।
মন্ত্রী বলেন, জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই অর্থঋণ মামলা (নম্বর ১০/০৯) করা হয়েছে। মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়েছে ২০১৫ সালের ৩১ মে। পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ জুলাই। অন্য ফৌজদারি মামলা নম্বর ৩৫/২০১০-এর সর্বশেষ শুনানি হয় ২০১৫ সালের ২৫ মে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ জুলাই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংক থেকে সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের ভুয়া এফডিআরের বিপরীতে তিন হাজার কোটি টাকা লুটপাটের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।