নকিয়ায় বড় ক্ষতি মাইক্রোসফটের

নকিয়া অধিগ্রহণের পর সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। প্রতি তিন মাসে মাইক্রোসফটের ক্ষতি হয়েছে ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার। নকিয়ার ফোন ব্যবসা ও অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট গত বছর নকিয়ার ফোন ব্যবসা কেনার পর এর পুনর্গঠনের জন্য ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের শেয়ারপ্রতি ৪৫ দশমিক ৩৮ ডলারে কমেছে ৪ শতাংশ।
প্রধান নির্বাহী সত্য নাদালের অধীনে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের সফটওয়্যার ও ক্লাউড সেবার ওপর মনোযোগ বাড়াচ্ছে।
গত বছরের শেষভাগে কম্পিউটার তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোতে উইন্ডোজ সফটওয়্যার কেনার হার কমেছে ২২ শতাংশ। উইন্ডোজ ৮ আশানুরূপ বিক্রি না হলেও ২৯ জুলাই উইন্ডোজ ১০ বাজারে আসছে।
গত এপ্রিলে মাইক্রোসফটের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অ্যামি হুড বলেন, উইন্ডোজ ১০-এর জন্য নতুন সফটওয়্যার ও গেম তৈরি হবে মাইক্রোসফটে আরেকটি আয়ের উৎস। তিনি বলেন, আগামী বছর জুনের মধ্যে মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন ‘বিং’ লাভজনক হবে।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে উইন্ডোজের বিক্রি ২১ শতাংশ কমে যায়। ওই সময় মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ এক্সপি সংস্করণের উন্নয়ন ও সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়। গত বছর একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় ছিল ৪৬১ কোটি মার্কিন ডলার।
মাইক্রোসফটের ‘অফিস ৩৬৫’, ‘এজুরে’সহ বাণিজ্যিক ক্লাউড সেবা ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ‘অফিস ৩৬৫’-এর নিবন্ধিত গ্রাহক হয়েছেন ৩০ লাখ। এর ফলে পণ্যটির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াল এক কোটি ৫২ লাখ।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এই মাসেই প্রতিষ্ঠানটি সাত হাজার ৮০০ কর্মচারী ছাঁটাই করছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারীর ৭ শতাংশ। জানা গেছে, ছাঁটাইকৃত কর্মচারীদের অধিকাংশই ফোন ও হার্ডওয়্যার বিক্রি শাখার। এর আগে গত বছর এবং চলতি বছরের শুরুতেও মাইক্রোসফট অনেক কর্মী ছাঁটাই করেছে।